Sunday, November 30, 2014

বিডরি পাতা _ Curculigo recurvata / ছাতিপাতা

  • 'বিডরি পাতা' গাছ
  •   বৈজ্ঞানিক নাম- Curculigo recurvata
  • ইংরেজি নাম- palm grass
চট্ট্রগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ইত্যাদি অঞ্চলে জন্মে। অন্যান্য অঞ্চলেও হয়ত জন্মে। অর্নামেন্টাল উদ্ভিদ হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। এর ফুলগুলো বেশ সুন্দর।
তরু কথা's photo.


তরু কথা's photo.

Thursday, November 13, 2014

কৌলিফ্লোরি / Cauliflory

কান্ড ফুঁড়ে ফুল ফল বের হওয়াটা কে কৌলিফ্লোরি বলে




Cauliflory is a botanical term referring to plants which flower and fruit from their main stems or woody trunks rather than from new growth and shoots. This can allow trees to be pollinated or have their seeds dispersed by animals which cannot climb or fly. With fruit, plants may instead have fruit which drop from the canopy and ripen only after they reach the ground, an alternative "strategy" to cauliflory.

Petrea volubilis / নীল-মণিলতা / নীলমণিলতা / নীলমণি লতা / নীল মণিলতা

নীল-মণিলতা ( Petrea volubilis)

ছবি: BOTANY.BD

Thursday, October 30, 2014

মাকাল / মাকাল ফল / Trichosanthes tricuspidata

মাকাল
ইংরেজী নাম: Colocynth, Cucumber
বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে-Trichosanthes tricuspidata
মাকাল  একটি লতা জাতীয় গাছ। এর কাচা ফল সবুজ কিন্তু পাকলে টকটকে লাল হয়, কিন্তু ভেতরে বিশ্রী দেখা যায়। এক সময় গ্রাম-বাংলায় প্রচুর দেখা গেলেও এখন খুবই কম চোখে পড়ে। এর ভেষজগুণও রয়েছে।



পরিচিতি: একটি বহুবর্ষজীবী মাকাল ফলের গাছ লতানো আকৃতির উদ্ভিদ। এই গাছ অন্য বড় বৃক্ষকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে। লম্বায় প্রায় ৩০-৪০ ফুট পর্যন্ত হয়। গাছের পাতা তেখতে হাতের তালুর মত। প্রতিটি পাতায় ৩-৭টি কারে খাঁজ থকে। পাতাগুলো একান্তরভাবে সজ্জিত। প্রতিটি পর্ব থেকে একটি করে পাতা ও আকর্ষি বের হয়। এই আকর্ষির সাহায্যেই মাকাল গাছ অন্য গাছকে আকড়িয়ে ধরে। পাতার কক্ষে ফুল ফোটে। ফূল ছোট সাদা রঙের এবং একলিঙ্গ। ফল দেখতে অনেকটা ডিমের মত কিন্তু আকারে ডিম থেকে বড় হয়। কাঁচা অবস্থায় সবুজ তার পর হলুদ ও পাকলে গাঢ় লাল হয়। ফলে প্রচুর পরিমাণে বীজ থাকে। শাঁস ধূসর বর্ণের এবং স্বাদ খুব তিতা। বর্ষাকালে ফুল ও ফল হয়।


জন্মস্থান: এই গাছ প্রাকৃতিক ভাবে বন-জঙ্গলে ও পরিত্যাক্ত জায়গায় জন্মায়। এমনকি হিমলয়ের ৫০০০ ফুট উঁচু স্থানেও এই গাছ জন্মাতে পারে। বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলার জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়।

ঔষধী ব্যবহার: বাইরের চাকচিক্য যতই থাকুক না কেন ভেতরটা অন্তঃসারশূন্য_ এমন অর্থ বোঝাতে ‘মাকাল ফল’ প্রবচনটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাস্তবে কিন্তু মাকালের বেশ কিছু ভেষজ গুণও রয়েছে। এই গাছের মূল এবং ফল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়াতে এই গাছের ফলের ব্যবহারের কথা উল্লাখ আছে। আধুনিক ঔষধ শিল্পে ফলের নির্যাস থেকে তৈরি ঔষধ ল্যাক্সেটিভ হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। ভারতেও রয়েছে এই ফল ও মূলের ব্যাপক ব্যবহার।
১) পারগেটিভ বা নির্মলকারক হিসেবে
২) লিভার টক্সিডিটি কমায়।
৩) দেহে কোন কারণে পানি জমলে অর্থাৎ শোথ রোগে দেহ থেকে পানি দূর করতে মাকাল ফলের নির্যাস খুবই শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
৪) বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়ায় প্রয়োগ করা হয়।
৫)  এই ফলের নির্যাস থেকে তৈরীকৃত ঔষধ মহিলাদের জরায়ুর বিভিন্ন সমসার ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে মহিলাদের ঋতু বদ্ধতার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর।
৬) এই গাছের মূল বেটে পেস্ট করে স্তনে লাগালে স্তনের প্রদাহ কমে।
৭)মূল সমপরিমাণ ত্রিফলা (আমলকি, বহেরা ও হরীতকী একসঙ্গে ত্রিফলা নামে পরিচিত) ও হলুদ মিশিয়ে যে অরিষ্ট তৈরি হয়, তা মধু মিশিয়ে সেবন করলে গনোরিয়া রোগে উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়া গাছের মূল জন্ডিস, পেটে পানি জমা, প্রস্রাবের সমস্যা, বাতব্যথা, কাশি, পেট বড় হয়ে যাওয়া এবং শিশুদের এ্যাজমা নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তথ্য ও ছবি: Botany.bd + Internet

Tuesday, October 28, 2014

Oxalis debilis & Oxalis corniculata / আমরুল / চুকা শাক

 আমরুল

এখানে প্রথম ছবির গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম- Oxalis debilis (গোলাপি আমরুল)। বাংলাদেশে Oxalis debilis অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়।

দ্বিতীয় ছবির গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম-Oxalis corniculata (আমরুল)  তবে Oxalis corniculata বাংলাদেশের সব জায়গাতেই প্রচুর জন্মে, বাংলায় এটি আমরুল নামে পরিচিত। এটি ভেষজগুণসমৃদ্ধ।
তরু কথা's photo.
গোলাপি আমরুল

তরু কথা's photo.
আমরুল/ চুকাশাক

Sunday, October 26, 2014

নীলবনলতা _ Thunbergia grandiflora নীল লতা_ নীল বনলতা - নীলাতা / নালাতা- নীল বনলতা

-------------------------------------
তথ্যসূত্র : botany.bd
______________
নীলবনলতা
বৈজ্ঞানিক নাম- Thunbergia grandiflora
অন্যান্য নাম-Bengal Clock Vine, Blue Trumpet Vine, Skay Flower
নীলবনলতা নামটি তরুপ্রেমী দ্বিজেন শর্মা 'ফুলগুলি যেন কথা' গ্রন্থে প্রথম উল্লেখ করেন ।

ফুলসহ গাছের একাংশ
বাগানের বেড়ায় এ ফুলের ঝুলন্ত সমারোহ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। গাছটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা-- 
১) এরা শক্ত লতার গাছ। সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে।
২) পাতা প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত আড়াই থেকে ৪ সেমি লম্বা ও কর্কশ, গোড়া তাম্বুলাকার, উভয়পৃষ্ঠ অমসৃণ, করতলাকারে ৫ থেকে ৭টি শিরাল, বোঁটা মোড়ানো ধরনের, আগা চোখা, লম্বায় প্রায়১০ সেন্টিমিটারের মতো ।
৩) ফুলগুলো লম্বা ঝুলন্ত ডাঁটায় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। দেখতে অনেকটা ঘণ্টার মতো, দলনল সামান্য বাঁকা, হালকা নীল রঙের।
৪)  অসমান পাপড়ির সংখ্যা ৫টি। পুংকেশর ৪টি, অর্ধসমান, গলদেশের ভেতরের দিক বাঁকানো, পরাগধানী ৫ থেকে ৯ সেমি লম্বা ও দীর্ঘায়িত।
৫) ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৬) ফল বেশ শক্তপোক্ত ধরনের, ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

 পাতা উপরের পৃষ্ঠ

পাতা নিচের পৃষ্ঠ
কোথায় জন্মে?
মধুপুরের শালবনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। নীলবনলতা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের গাছ। আমাদের চিরসবুজ বনের গাছপালা এদের প্রিয় আবাস। তবে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আসামে।মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনেও এটি আছে। মৌলভীবাজার জেলার পাথারিয়া পাহাড়ে এবং সমনবাগ চা বাগানে একটি লেকের ধারেও এটি দেখা যায়।

ভেষজগুণ:  মালয়েশিয়ায় এ গাছের পাতার ক্বাথ পেটের অসুখে কাজে লাগে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীও এ গাছের পাতা নানা কাজে ব্যবহার করে।
বংশবৃদ্ধি:  বীজ ও কাটিংয়ে।
তথ্যসূত্র : botany.bd

Saturday, October 25, 2014

Gymnema sylvestre / মেষ শৃঙ্গী / মেরাসিংগি _ merasingi / অজাগন্ধিনি / মধুনাশিনি _ madhunashini / গুড় মার _ Gur-mar /মেষশৃঙ্গী / মেষ শৃঙ্গি / মেষশৃঙ্গি

---------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র-
BOTANY.bd
মেষ শৃঙ্গী

Gymnema sylvestre

অন্যান্য নাম  : মেরা সিঙ্গা / মেষ শৃঙ্গী

Sanskrit: Meshashringi, madhunashini 
Hindi: Gur-mar, merasingi
Family – Asclpiadaceae


(গাছের একাংশ, ছবি-নেট)

 এটি একটি কাষ্ঠল লতা। ফুল ছোট, হলদে বর্ণের। পাতা রোমশ, সরল, প্রতিমূখ। এর ভেষজ গুণ রয়েছে। 
(পাতা ও ফল, ছবি-নেট)

(পাতা ও ফল, ছবি-নেট)

স্থানীয় ভাষায় ফলের নাম-"হাত কাটা গুড়ি" । ভারতে বানিজ্যিক ভাবে এর পাউডার বিক্রি হয়। নানা রোগ নিরাময় এর উদ্দেশ্যে। ডায়াবেটিস ও মেদ কমানোর জন্য বহু মানুষ এটি ব্যবহার করেন। এটি বহু রোগ নিরাময় করে। আরও জানতে নিচে ইংরেজি অংশের বর্ণনা পড়ুন।
নিচে ফলের ভিতরের অংশের অনেক
ছবি দেয়া হল-
নিচের ছবিগুলোর সোর্স- BOTANY.bd গ্রুপের 'মাধবীলতা' নামের সদস্য

ফলের ভিতরে ভেলভেট সূতার মত আঁশ।




 
  • ইংরেজীতে বর্ণনা ( নেট থেকে)
Gymnema sylvestre is regarded as one of the plants with potent anti diabetic properties. This plant is also used for controlling obesity in the form of Gymnema tea. The active compound of the plant is a group of acids termed as gymnemic acids. It has been observed that there could be a possible link between obesity, Gymnemic acids and diabetes. This review will try to put forth an overall idea about the plant as well as present a molecular perspective linking the common medicine to the most common metabolic disorders.

It is a woody climber with small yellowish flowers and simple opposite, ovate -elliptic hairy leaves. It is found wild in various deciduous forests of India. The leaves of this plant have been used in India for over 2000 years to treat madhu meha, or “honey urine.” Chewing the leaves destroys the ability to discriminate the “sweet” taste, giving it its common name, gurmar, or “sugar destroyer.”