Saturday, October 18, 2014

কানাইডিঙ্গা / কানাই ডিঙ্গা / কানাইডিংগা / কানাই ডিংগা _ Oroxylum indicum

কানাইডিঙ্গা

ইংরেজি নামঃ মিডনাইট হরর, Broken bones plant, Indian calosanthes, Indian Trumpet Tree, Tree of Damocles.
পরিবারঃ Bignoniaceae
বৈজ্ঞানিক নাম-Oroxylum indicum

এটি একটি সংকটাপন্ন বুনো উদ্ভিদ। তলোয়ারের মতো দীর্ঘতম ফলের জন্যও এরা বিখ্যাতশোনাক ও শুকনাশ এদের সংস্কৃত নামতা ছাড়া শোনা, কটম্ভর, প্রিয়জীব, দীর্ঘবৃন্তক, পীতপাদপ ইত্যাদি নামেও পরিচিOroxylum গণে এরাই একমাত্র প্রজাতি


কানাইডিঙ্গা 
এটি একটি সংকটাপন্ন উদ্ভিদ। দৈনিক সমকালে প্রকাশিত মোকারম হোসেনের একটি লেখা অনেক তথ্য জানতে পেরেছি, যেমন--

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সংরক্ষিত বাগান এবং মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে এটি দেখা যায়। আছে শালবন অঞ্চলেও। প্রস্টম্ফুটিত ফুল অতি প্রত্যুষে দিনের আলো ফোটার আগে ঝরে পড়ায় গাছতলাতেই দেখা মেলে। আর পরাগায়ন কাজটিও হয় রাতের পাখি বাদুড়ের মাধ্যমে। একটু খেয়াল করলেই ঝরে পড়া ফুলে বাদুড়ের নখের আঁচড় দেখা যাবে। এসবকারণে ইংরেজি নামটিও জম্পেশ, মিডনাইট হরর। শোনাক ও শুকনাশ এদের সংস্কৃত নাম। তা ছাড়া শোনা, কটম্ভর, প্রিয়জীব, দীর্ঘবৃন্তক, পীতপাদপ ইত্যাদি নামেও পরিচিত। কানাইডিঙ্গা বুনো গাছ। তলোয়ারের মতো দীর্ঘতম ফলের জন্যও এরা বিখ্যাত।
কানাইডিঙ্গা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচু হতে পারে।  প্রস্টম্ফুটনকাল দীর্ঘ_ বর্ষার শেষভাগ থেকে প্রায় হেমন্ত অবধি। লম্বাটে মঞ্জরিদণ্ডের আগায় আঙুলের ডগার মতো অসংখ্য কলি ঈষৎ ঝুলে থাকে। দিনের আলোয় কোনো প্রস্টম্ফুটন প্রস্তুতি চোখে পড়ে না। রাতের অন্ধকারে অতি দ্রুততার সঙ্গে তা শেষ হয়। ফুল প্রথম দর্শনে পীতপাটলাও মনে হতে পারে। গড়নের দিক থেকে প্রায় একই হলেও এই গণে এরাই একমাত্র প্রজাতি। গুচ্ছবদ্ধ ফুল বেশ বড়, ঈষৎ হলুদ-বেগুনি রঙের। ৫টি পাপড়িই গভীরভাবে মোড়ানো, পরাগকেশর স্পষ্ট, দুর্গন্ধি। গাছটির মূল, ছাল ও বীজ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ বানানো হয়।

# বর্ণনা:


১) কানাইডিঙ্গা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচু হতে পারে
২)
পাতা যেৌগিক, বেশ নান্দনিক৩) পুষ্পায়ন: বর্ষার শেষভাগ থেকে প্রায় হেমন্ত অবধিলম্বাটে মঞ্জরিদণ্ডের আগায় আঙুলের ডগার মতো অসংখ্য কলি ঈষ ঝুলে থাকে।  ৪) এরা নিশিপুষ্পদিনের আলো ফোটার আগেই ঝরে পড়ে গাছতলায়এই  গুচ্ছবদ্ধ ফুল বেশ বড়, ঈষ হলুদ-বেগুনি রঙের৫টি পাপড়িই গভীরভাবে মোড়ানো, পরাগকেশর স্পষ্ট, দুর্গন্ধি


# প্রাপ্তিস্থান:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সংরক্ষিত বাগান এবং মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, ময়মনসিংহের কিছু স্থানে, শালবন অঞ্চলে। 
 উপকারীতা:
গাছটির মূল, ছাল ও বীজ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ বানানো হয়



তথ্যসূত্র/ ছবি : নেট, দৈনিক সমকাল।

No comments:

Post a Comment