Thursday, October 30, 2014

মাকাল / মাকাল ফল / Trichosanthes tricuspidata

মাকাল
ইংরেজী নাম: Colocynth, Cucumber
বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে-Trichosanthes tricuspidata
মাকাল  একটি লতা জাতীয় গাছ। এর কাচা ফল সবুজ কিন্তু পাকলে টকটকে লাল হয়, কিন্তু ভেতরে বিশ্রী দেখা যায়। এক সময় গ্রাম-বাংলায় প্রচুর দেখা গেলেও এখন খুবই কম চোখে পড়ে। এর ভেষজগুণও রয়েছে।



পরিচিতি: একটি বহুবর্ষজীবী মাকাল ফলের গাছ লতানো আকৃতির উদ্ভিদ। এই গাছ অন্য বড় বৃক্ষকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে। লম্বায় প্রায় ৩০-৪০ ফুট পর্যন্ত হয়। গাছের পাতা তেখতে হাতের তালুর মত। প্রতিটি পাতায় ৩-৭টি কারে খাঁজ থকে। পাতাগুলো একান্তরভাবে সজ্জিত। প্রতিটি পর্ব থেকে একটি করে পাতা ও আকর্ষি বের হয়। এই আকর্ষির সাহায্যেই মাকাল গাছ অন্য গাছকে আকড়িয়ে ধরে। পাতার কক্ষে ফুল ফোটে। ফূল ছোট সাদা রঙের এবং একলিঙ্গ। ফল দেখতে অনেকটা ডিমের মত কিন্তু আকারে ডিম থেকে বড় হয়। কাঁচা অবস্থায় সবুজ তার পর হলুদ ও পাকলে গাঢ় লাল হয়। ফলে প্রচুর পরিমাণে বীজ থাকে। শাঁস ধূসর বর্ণের এবং স্বাদ খুব তিতা। বর্ষাকালে ফুল ও ফল হয়।


জন্মস্থান: এই গাছ প্রাকৃতিক ভাবে বন-জঙ্গলে ও পরিত্যাক্ত জায়গায় জন্মায়। এমনকি হিমলয়ের ৫০০০ ফুট উঁচু স্থানেও এই গাছ জন্মাতে পারে। বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলার জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়।

ঔষধী ব্যবহার: বাইরের চাকচিক্য যতই থাকুক না কেন ভেতরটা অন্তঃসারশূন্য_ এমন অর্থ বোঝাতে ‘মাকাল ফল’ প্রবচনটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাস্তবে কিন্তু মাকালের বেশ কিছু ভেষজ গুণও রয়েছে। এই গাছের মূল এবং ফল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়াতে এই গাছের ফলের ব্যবহারের কথা উল্লাখ আছে। আধুনিক ঔষধ শিল্পে ফলের নির্যাস থেকে তৈরি ঔষধ ল্যাক্সেটিভ হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। ভারতেও রয়েছে এই ফল ও মূলের ব্যাপক ব্যবহার।
১) পারগেটিভ বা নির্মলকারক হিসেবে
২) লিভার টক্সিডিটি কমায়।
৩) দেহে কোন কারণে পানি জমলে অর্থাৎ শোথ রোগে দেহ থেকে পানি দূর করতে মাকাল ফলের নির্যাস খুবই শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
৪) বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়ায় প্রয়োগ করা হয়।
৫)  এই ফলের নির্যাস থেকে তৈরীকৃত ঔষধ মহিলাদের জরায়ুর বিভিন্ন সমসার ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে মহিলাদের ঋতু বদ্ধতার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর।
৬) এই গাছের মূল বেটে পেস্ট করে স্তনে লাগালে স্তনের প্রদাহ কমে।
৭)মূল সমপরিমাণ ত্রিফলা (আমলকি, বহেরা ও হরীতকী একসঙ্গে ত্রিফলা নামে পরিচিত) ও হলুদ মিশিয়ে যে অরিষ্ট তৈরি হয়, তা মধু মিশিয়ে সেবন করলে গনোরিয়া রোগে উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়া গাছের মূল জন্ডিস, পেটে পানি জমা, প্রস্রাবের সমস্যা, বাতব্যথা, কাশি, পেট বড় হয়ে যাওয়া এবং শিশুদের এ্যাজমা নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তথ্য ও ছবি: Botany.bd + Internet

Tuesday, October 28, 2014

Oxalis debilis & Oxalis corniculata / আমরুল / চুকা শাক

 আমরুল

এখানে প্রথম ছবির গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম- Oxalis debilis (গোলাপি আমরুল)। বাংলাদেশে Oxalis debilis অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়।

দ্বিতীয় ছবির গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম-Oxalis corniculata (আমরুল)  তবে Oxalis corniculata বাংলাদেশের সব জায়গাতেই প্রচুর জন্মে, বাংলায় এটি আমরুল নামে পরিচিত। এটি ভেষজগুণসমৃদ্ধ।
তরু কথা's photo.
গোলাপি আমরুল

তরু কথা's photo.
আমরুল/ চুকাশাক

Sunday, October 26, 2014

নীলবনলতা _ Thunbergia grandiflora নীল লতা_ নীল বনলতা - নীলাতা / নালাতা- নীল বনলতা

-------------------------------------
তথ্যসূত্র : botany.bd
______________
নীলবনলতা
বৈজ্ঞানিক নাম- Thunbergia grandiflora
অন্যান্য নাম-Bengal Clock Vine, Blue Trumpet Vine, Skay Flower
নীলবনলতা নামটি তরুপ্রেমী দ্বিজেন শর্মা 'ফুলগুলি যেন কথা' গ্রন্থে প্রথম উল্লেখ করেন ।

ফুলসহ গাছের একাংশ
বাগানের বেড়ায় এ ফুলের ঝুলন্ত সমারোহ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। গাছটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা-- 
১) এরা শক্ত লতার গাছ। সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে।
২) পাতা প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত আড়াই থেকে ৪ সেমি লম্বা ও কর্কশ, গোড়া তাম্বুলাকার, উভয়পৃষ্ঠ অমসৃণ, করতলাকারে ৫ থেকে ৭টি শিরাল, বোঁটা মোড়ানো ধরনের, আগা চোখা, লম্বায় প্রায়১০ সেন্টিমিটারের মতো ।
৩) ফুলগুলো লম্বা ঝুলন্ত ডাঁটায় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। দেখতে অনেকটা ঘণ্টার মতো, দলনল সামান্য বাঁকা, হালকা নীল রঙের।
৪)  অসমান পাপড়ির সংখ্যা ৫টি। পুংকেশর ৪টি, অর্ধসমান, গলদেশের ভেতরের দিক বাঁকানো, পরাগধানী ৫ থেকে ৯ সেমি লম্বা ও দীর্ঘায়িত।
৫) ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৬) ফল বেশ শক্তপোক্ত ধরনের, ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

 পাতা উপরের পৃষ্ঠ

পাতা নিচের পৃষ্ঠ
কোথায় জন্মে?
মধুপুরের শালবনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। নীলবনলতা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের গাছ। আমাদের চিরসবুজ বনের গাছপালা এদের প্রিয় আবাস। তবে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আসামে।মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনেও এটি আছে। মৌলভীবাজার জেলার পাথারিয়া পাহাড়ে এবং সমনবাগ চা বাগানে একটি লেকের ধারেও এটি দেখা যায়।

ভেষজগুণ:  মালয়েশিয়ায় এ গাছের পাতার ক্বাথ পেটের অসুখে কাজে লাগে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীও এ গাছের পাতা নানা কাজে ব্যবহার করে।
বংশবৃদ্ধি:  বীজ ও কাটিংয়ে।
তথ্যসূত্র : botany.bd

Saturday, October 25, 2014

Gymnema sylvestre / মেষ শৃঙ্গী / মেরাসিংগি _ merasingi / অজাগন্ধিনি / মধুনাশিনি _ madhunashini / গুড় মার _ Gur-mar /মেষশৃঙ্গী / মেষ শৃঙ্গি / মেষশৃঙ্গি

---------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র-
BOTANY.bd
মেষ শৃঙ্গী

Gymnema sylvestre

অন্যান্য নাম  : মেরা সিঙ্গা / মেষ শৃঙ্গী

Sanskrit: Meshashringi, madhunashini 
Hindi: Gur-mar, merasingi
Family – Asclpiadaceae


(গাছের একাংশ, ছবি-নেট)

 এটি একটি কাষ্ঠল লতা। ফুল ছোট, হলদে বর্ণের। পাতা রোমশ, সরল, প্রতিমূখ। এর ভেষজ গুণ রয়েছে। 
(পাতা ও ফল, ছবি-নেট)

(পাতা ও ফল, ছবি-নেট)

স্থানীয় ভাষায় ফলের নাম-"হাত কাটা গুড়ি" । ভারতে বানিজ্যিক ভাবে এর পাউডার বিক্রি হয়। নানা রোগ নিরাময় এর উদ্দেশ্যে। ডায়াবেটিস ও মেদ কমানোর জন্য বহু মানুষ এটি ব্যবহার করেন। এটি বহু রোগ নিরাময় করে। আরও জানতে নিচে ইংরেজি অংশের বর্ণনা পড়ুন।
নিচে ফলের ভিতরের অংশের অনেক
ছবি দেয়া হল-
নিচের ছবিগুলোর সোর্স- BOTANY.bd গ্রুপের 'মাধবীলতা' নামের সদস্য

ফলের ভিতরে ভেলভেট সূতার মত আঁশ।




 
  • ইংরেজীতে বর্ণনা ( নেট থেকে)
Gymnema sylvestre is regarded as one of the plants with potent anti diabetic properties. This plant is also used for controlling obesity in the form of Gymnema tea. The active compound of the plant is a group of acids termed as gymnemic acids. It has been observed that there could be a possible link between obesity, Gymnemic acids and diabetes. This review will try to put forth an overall idea about the plant as well as present a molecular perspective linking the common medicine to the most common metabolic disorders.

It is a woody climber with small yellowish flowers and simple opposite, ovate -elliptic hairy leaves. It is found wild in various deciduous forests of India. The leaves of this plant have been used in India for over 2000 years to treat madhu meha, or “honey urine.” Chewing the leaves destroys the ability to discriminate the “sweet” taste, giving it its common name, gurmar, or “sugar destroyer.”


Friday, October 24, 2014

ব্রাহ্মীশাক / ব্রাহ্মী / ব্রাহ্মিশাক / ব্রাহ্মি_ Bacopa monnieri - brahmi

ব্রাহ্মীশাক
Bacopa monnieri
------------------------------------------------

ছোট গাছ, কাণ্ড এবং পাতা রসালো। ফুল বেগুনি সাদাটে। সাধারণত পানিযুক্ত মাটিতে/ ভেজা মাটিতে জন্মে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশি জন্মে, এছাড়া ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা, পাবনা ইত্যাদি জেলাতেও জন্মে। ( ব্রাহ্মীশাক আমাদের বেশ পরিচিত হলেও আরো কিছু গাছকেও ব্রাহ্মী বলে অভিহিত করা হয় যার মধ্যে রয়েছে থানকুনি। এসব বিভ্রান্তির একটি কারণ হল, প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে সংস্কৃত শ্লোকে গাছের গুনাগুণ বিচার করেই বেশি লেখা হয়েছে। সেখানে গাছের আকৃতিগত বিবরণ প্রাধান্য পায়নি। )
স্মৃতিশক্তি বর্ধনের জন্যে ব্রাহ্মীর ব্যবহার দারুণ সাফল্যজনক, যেটা বয়স বাড়ার জন্যেও প্রযুক্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ২ চামচ ব্রাহ্মী পাতার রস, আধা চামচ গরম ঘীয়ের সঙ্গে, আধকাপ দুধের সঙ্গে খেতে হয়। তবে সকালে কিছু নাশতা খাবার পর খাওয়াই বিধি। ২-৩ সপ্তাহ খেলেই উপকারটা বেশ বোঝা যায়। শিক্ষার্থীদের জন্যে এটা বোধ হয় খুবই দরকারী ওষুধ যদি স্মৃতিশক্তি কমে গেছে মনে হয়। অনেকে বাতের মালিশের জন্যে ব্রাহ্মীর রস পেট্রোলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করে থাকেন। ইনসমনিয়া বা অঘুমার জন্যেও এর রস বিশেষ উপকারী।




তথ্যসূত্র / ছবি- botany.bd এবং নেট।

ইংরেজি বর্ণনা- (উইটিপিডিয়া থেকে)
Bacopa monnieri
(waterhyssop, brahmi,thyme-leafed gratiola, water hyssop, herb of grace, Indian pennywort is a perennial, creeping herb native to the wetlands of southern India, Australia, Europe, Africa, Asia, and North and South America. Bacopa is an important medicinal herb used in Ayurveda, where it is also known as "Brahmi," after Brahmā, the creator God of the Hindu pantheon. Bacopa has traditionally been employed as a neurological tonic and cognitive enhancer, and it is currently being studied for its possible neuroprotective properties.
The leaves of this plant are succulent, oblong and 4–6 millimeters thick. Leaves are oblanceolate and are arranged oppositely on the stem. The flowers are small and white, with four or five petals.

Ecology

It commonly grows in marshy areas throughout  India, Nepal, Sri Lanka, China, Pakistan, Taiwan, and Vietnam. This plant can be grown hydroponically.

Traditional uses

Bacopa has been used in traditional Ayurvedic treatment for epilepsy and asthma. It is also used in Ayurveda for ulcers, tumors, ascites, enlarged spleen, indigestion, inflammations, leprosy, anemia, and biliousness.

Lobelia chinensis _ লবেলিয়া ফুল / লবেলিয়া ঘাস

লবেলিয়া ফুল / লবেলিয়া ঘাস
বৈজ্ঞানিক নাম- Lobelia chinensis
অন্যনাম- Chinese Lobelia, Herba Lobellae
গোত্র-
Campanulaceae
  • শুক্রবারের ''পরাধীন পোস্ট''
+++++++++++++++++++
ফুল ভালবাসি। ভালবাসি গাছ- শুধু বৃক্ষ নয়, ভালবাসি বিরুৎ কিংবা গুল্মকেও।  গাছ সম্পর্কে জানতে চাই, শুনতে চাই। বলতেও চাই গাছ নিয়ে- শুধু বৃক্ষের কথা নয়, বিরুৎ কিংবা গুল্মের কথাও বলতে চাই। প্রতিদিন ফুল-ফল-গাছ নিয়েই জানতে চাই, শুক্রবারেও গাছকে ভালবাসতে চাই। অন্যধরনের বিষয়গুলোতো আমরা নিজেদের ওয়ালেই পোস্ট দিতে পারি, তাইনা? আসুন আজ একটি নতুন বিরুৎ-ফুলকে চিনি। এটি বাগানে গ্রাউন্ড-কভার হিসেবে লাগানো যায়, ফুলটি ব্যাতিক্রমি সুন্দর। 
এর নাম- লবেলিয়া ফুল।
  • বর্ণনা- এটি বিরুত জাতীয়, ছোট ১৫-৩৫সেমি. লম্বা। শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট, পাতাগুলো সরু।কাণ্ড সবুজ তবে মূল কিছুটা হলুদাভ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আগাছা হিসেবে জন্মাতে দেখা গেলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাগানে গ্রাউণ্ডকভার কভার হিসেবে লাগানো হয়। গাছটির আদিনিবাস চীন জন্যে এ প্রজাতির নাম লবেলিয়া চাইনেসিস।
    এ গাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান আছে, যেমন-
    apignen, lobeline, lobelanine, isolobelanine, lobelanidine, quercetin, courmarins, glucosides ইত্যাদি। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগে এ গাছ উপকারী। ভেষজগুণের কারণে চীনে এ গাছ বেশ সমাদৃত।

    তথ্য-নেট।
    ছবি- আমার উঠানো

Thursday, October 23, 2014

রক্তরাগ / কর্ডিয়া / স্কারলেট কর্ডিয়া / রক্ত রাগ / Cordia sebestena



স্কারলেট কর্ডিয়া / রক্তরাগ

বৈজ্ঞানিক নামঃ Cordia sebestena
ইংরেজী
নামঃ Scarlet Cordia, Orange Geiger Tree, Sebesten plum, Geiger Tree, sea trumpet

পরিবারঃ Boraginaceae (forget-me-not family)


স্কারলেট কর্ডিয়া-এর আদি আবাস কিউবা ও পেরু হলেও আমাদের বাগানে আপন হয়ে গেছে ফুলটি। এর বাংলা নামও দেয়া হয়ে গেছে.....রক্তরাগ !! অসাধারণ রঙ আর রূপের সঙ্গে এর রক্তরাগ নামটি বেশ মানানসই । গাছের শাখায় গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের শোভা এক পলকেই সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। ফুলের উজ্জ্বল কমলা রঙ আর পাতার টিয়ে সবুজ রঙে কর্ডিয়ার অপূর্ব সাজ বেশ নজরকাড়া। গাছে ফুল থাকে প্রায় সারা বছরই, তবে শীত থেকে বসন্তে বেশি।

বর্ণনা:
১)গাছ ছোটখাটো, ৫ থেকে ৮ মিটার উঁচু, চিরসবুজ, কখনো গুল্ম আকারের।
২)পাতা একক, ১০ থেকে ১৮ সেমি লম্বা, ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার।
৪) ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফোটে প্রায় সারা বছর।
৫) ফুল ৩ থেকে ৫ সেমি লম্বা, পাপড়ি সংখ্যা ৬।
৬) ফল ডিম্বাকার, শাঁসাল, প্রায় ৪ সেমি লম্বা, বৃতিযুক্ত। বীজ আঠাল শাঁসে জড়ানো।
৭) শুষ্ক অঞ্চলে ভালো বাড়ে। বীজ, কলম ও দাবাকলমে চাষ।


  • কোথায় এ ফুলগাছ?
  • শাহবাগের টেনিস কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ, রমনা পার্ক, দোয়েল চত্বরের পশ্চিমে ঢাবি ক্যাম্পাস, বলধা গার্ডেনসহ বিভিন্ন বাগানে কর্ডিয়ার দেখা মেলে।

একটি সম্পূর্ণ গাছ

লাল বিছুটি / লাল-বিছুটি / Laportea interrupta

লাল বিছুটি

বৈজ্ঞানিক নাম: Laportea interrupta
গোত্র: Urticaceae
• English: Hen's Nettle, Hawai'i woodnettle, stinging nettle
• Hindi:  bichata,   bichua
• Sanskrit: vrushrchat


গাছটির সমস্ত অংশ বিশেষ করে পাতায় অতি ক্ষুদ্র রোমের মত কাটা থাকে যা শরীরে ফুটলে ভীষন চুলকায়। এজন্যই এর নাম বিছুটি।  কান্ড, শাখা-প্রশাখা ও পাতার শিরা-উপশিরা সবই কিছুটা লালচে রঙের হয়ে থাকে তাই এর নাম লাল-বিছুটি ।  এর পাতা শরীরে ঘষা লাগলে সেখানে চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। ছোট ঝোপ আকারে জন্মে থাকে। ২০-৮০ সে.মি. লম্বা হয় উদ্ভিদটি। বাড়ীর আশেপাশের পতিত জমি, রাস্তার পাশে, ড্রেনের পাশে উদ্ভিদটি জম্মায়। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই একে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র/ ছবি: নেট।

Premna esculenta _ লালনা

লালনা
Premna esculenta
গোত্র-Verbenaceae
ছবি এবং তথ্য- Botany.bd /এমদাদুল হক খোকন
Premna esculenta

from JU campus, 2013
 
  • এটি ছোট কাণ্ডবিশিষ্ট শাখান্বিত গুল্ম। পাতা প্রতিমুখ, 10-20 cm লম্বা, কিনারা সিরেট (serrate)। শাখার শীর্ষে করিম্বে ছোট ছোট হলুদাভ সাদা ফুল হয়। পরিপক্ক ফল লালচে/পার্পল বর্ণের। এটির ভেষজ গুণ আছে।
  • এটি মুত্রবর্ধক, চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের লোকজন এর পাতা তরকারীতেও ব্যবহার করে। মুত্রনালীর সমস্যাতেও এর ব্যবহার আছে।
জন্ডিস রোগের ওষুধ তৈরিতেও এর ব্যবহার আছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলে এই গাছ জন্মে, জাহাং্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও এটি পাওয়া যায়।

Ammannia baccifera _ বনমরিচ / দাদমারি / দাদমারী / অগ্নিগর্ভ - Banmarich / dadmari

বনমরিচ / দাদমারি
বৈজ্ঞানিক নাম: Ammannia baccifera

Synonyms: A. apiculata, A. attenuata
ইংরেজি নাম: Blistering Ammania, Monarch Redstem
সংস্কৃত নাম: অগ্নিগর্ভ
গোত্র: Lythraceae
______________________________________________________________
গাছটির ছবি তুলেছিলাম আজ (২২/১০/২০১৪) একটি ফলের বাগান থেকে।  হঠাত করে দেখলাম ফেইসবুকের Botany.bd নামক গ্রুপে এই গাছের পোস্ট দেয়া হয়েছে। এখানে প্রথম ছবিটি আমার উঠানো। অন্যগুলো নেট থেকে নিয়েছি।


গাছটি ধানখেত, জলাভূমিতে বা স্যাতসেতে নিচু জমিতে, ফলবাগানে জন্মে। কিছু বর্ণনা নিচে দেয়া হল-
১) এটি খাড়া,  ছোট বিরুৎ জাতীয়, বর্ষজীবী, শাখান্বিত।
২) গাছটি কখনো কখনো সবুজ হলেও অধিকাংশ সময় কম-বেশি লালচে/ পার্পল (purplish) বর্ণের দেখায়।
৩) কাণ্ড কিছুটা চারকোণাকার।
৪) প্রধান কাণ্ডের নিচের দিকের পাতা সরু, লম্বাটে (oblong, oblanceolate, or narrowly elliptic)
৫) শাখার পাতাগুলো কিছুটা ছোট।
৬)পাতার কক্ষে গুচ্ছাকারে ছোট ছোট ফুল হয়, এদের বর্ণ সবুজাভ বা পার্পল হতে পারে।
৭) ফল ক্যাপসুল জাতীয়, প্রায় গোলাকার, পার্পল বর্ণের। বীজ কালচে বর্ণের।








  • উপকারীতা: পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যায় এর পাতার রস ব্যবহার করা হয়। দাদরোগেও এটি উপকারী বলে জানা গেছে।

উইকিপিডিয়ার তথ্য-____________________________________________________
'বনমরিচ' / monarch redstem /blistering ammannia-- is a species in the family Lythraceae. It is widespread in the tropical regions of Asia, America and Africa. It has been naturalized in Spain. It is annual and herbaceous, and can be found in marshes, swamps, rice fields and water courses at low elevations. It is considered endangered in Israel, but because it is widespread and common elsewhere, the IUCN considers it to be 'Least Concern'. The plant Ammannia baccifera Linn. is erect, branched, smooth, slender, annual, more or less purplish herb 10 to 50 centimeters in height. The stems are somewhat 4-angled. The leaves are oblong, oblanceolate, or narrowly elliptic, about 3.5 centimeters long – those on the branches very numerous, small, and 1 to 1.5 centimeters long – with narrowed base and pointed or somewhat rounded tip. The flowers are small, about 1.2 millimeters long, greenish or purplish, and borne in dense axillary clusters. The capsules are nearly spherical, depressed, about 1.2 millimeters in diameter, purple, and irregularly circumscribes above the middle. The seeds are black

Wednesday, October 22, 2014

বননীল / Tephrosia purpurea _ Wild indigo

বননীল
বৈজ্ঞানিক নাম-Tephrosia purpurea
ইংরেজি নাম- Wild indigo

তথ্যসূত্র/ ছবি : Botany.bd / t.b


উদ্ভিদটি গুল্ম জাতীয়। বেগুনি বর্ণের ফুল হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তার পাশে বা পাহাড়ের পাদদেশে জন্মে।



Uraria crinita

Scientific name: Uraria crinita
Common name: Asian foxtail

Family: Fabaceae
Origin: South China/ Southeast Asia

  • Botany.bd তে একটি পোস্টে রাশেদ কারামী এ গাছ সম্পর্কে বলেন- ''শেরপুরের পাহাড়ে এ রূপসী ফুলের সাথে আমার প্রথম সাক্ষাত। সুন্দরী ঝর্ণার পাশে এ রুপসীর সহাবস্থান দর্শনে মুগ্ধ হই... বলা যায় প্রেমাসক্ত হই । তাই অনেক ঝাক্কি সামলে এর কয়েকটি ছবি নিই... প্রেম বলে কথা!! অনিন্দ্য-রূপসী, বেগুনিবর্ণা এ বুনো ফুল সত্যিই মন কেড়ে নিবে আপনারও। চীনসহ কিছু দেশে এ রূপসীকে অর্নামেন্টাল ‘পট-প্ল্যান্ট’ হিসেবে জন্মানো হয়, আমাদের দেশে হয় কিনা জানা নেই। তবে, বাগানে ঠাই দিলে তা হবে অনন্য।''
    • এর সাথে মিল আছে এরকম উদ্ভিদ হচ্ছে:
      ঈশ্বরীজটা/বান্দরঝুটি/চাকুলিয়া (U. lagopodoides ) এবং সঙ্করজটা (Uraria picta), সালপান (Uraria hamosa)

রূপসীর নাম দেব কী?
---------------------------------------------------
শেরপুরের পাহাড়ে এ রূপসী ফুলের সাথে আমার প্রথম সাক্ষাত। সুন্দরী ঝর্ণার পাশে এ রুপসীর সহাবস্থান দর্শনে মুগ্ধ হই... বলা যায় প্রেমাসক্ত হই । তাই অনেক ঝাক্কি সামলে এর কয়েকটি ছবি নিই... প্রেম বলে কথা!!  অনিন্দ্য-রূপসী, বেগুনিবর্ণা এ বুনো ফুল সত্যিই মন কেড়ে নিবে আপনারও। চীনসহ কিছু দেশে এ রূপসীকে অর্নামেন্টাল ‘পট-প্ল্যান্ট’ হিসেবে জন্মানো হয়, আমাদের দেশে হয় কিনা জানা নেই। তবে, বাগানে ঠাই দিলে তা হবে অনন্য। এ রূপসীর বাংলা নাম জানিনে........রূপসীর নাম দেব কী...ভাবছি শুধু তাই!
---------------------------------------------------
বৈজ্ঞানিক নাম- Uraria crinita
synonym- U. macrostachya / Doodia crinita
গোত্র : Fabaceae
-------------------------------------------------------
এর সাথে মিল আছে এরকম উদ্ভিদ হচ্ছে: ঈশ্বরীজটা/বান্দরঝুটি/চাকুলিয়া (U.  lagopodoides ) এবং সঙ্করজটা (Uraria picta), সালপান (Uraria hamosa)


Spermacoce latifolia / Borreria latifolia/ Oval Leaf False Buttonweed/

Spermacoce latifolia
synonym-Borreria latifolia
common name-Oval Leaf False Buttonweed
Family--Rubiaceae
 
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এটি জন্মে।
 

Monday, October 20, 2014

কাউয়াঠুকরি / কাউয়াঠুকরী/ কাউয়া ঠুকরী / কাউয়া-ঠুকরী/ কাউয়া-ঠুকরি /কাউয়া ঠুকরি / কাওয়া ঠুকরি / শালুক ঘাস / মুয়া-মিয়া /lesser arrow-head / Sagittaria guyanensis

কাউয়াঠুকরি / শালুক ঘাস / মুয়া-মিয়া
Common name: Guyanese Arrowhead / lesser arrow-head
বৈজ্ঞানিক নাম: Sagittaria guyanensis
গোত্র : Alismataceae
______________________________________________________
কাউয়াঠুকরি (শালুক ঘাস/ মুয়ামিয়া) গাছটি খাল বিলে খুব দেখা যায়। কেউ কেউ আবার পানচুলির মত একেও চাদমালা বলে থাকেন। এর ফুল দুগ্ধ সাদা। ভিতরে পাপড়ির গোঁড়ার দিকে গাঢ় মেরুন এবং গোড়ায় হলদে। ফুল গন্ধ হীন। ফুল আনুমানিক ৪ সেঃমিঃ হতে ৫ সে.মিঃ আকৃতির। দেখতে খুব সুন্দর। ফল হয়, আকৃতিতে ২/৩ সেঃমিঃ। ফুল ফোটে আগস্ট হতে নভেম্বার পর্যন্ত।
  •  তথ্য ও ছবি : Botany.bd / (T.B-এর পোস্ট থেকে)
  • ছবির শেষে ইংরেজিতে গাছটি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা আছে।

পুরুষ ফুল (white with a purple spot near the yellowish base),পুংফুলে পুংকেশর থাকে ৬-৯টি


উভলিঙ্গিক ফুল (পুংকেশর থাকে 6-12টি)

পাতা ও ফুল
(ফটোগ্রাফিতে দক্ষ তরুপ্রেমী তাপস বর্ধনের হাতে কাউয়াঠুকরির ফল)

Description in English
Seedlings of S. guyanensis grow rapidly in standing water. It is a lactiferous herb without stolons. The average height of the herb is 40 cm (10-80 cm). The leaves are floating and simple, the margin entire, broadly arrow-head shaped and oval in outline, and 3-12 x 2.5-11 cm. The leaf tip is obtuse-rounded, and the base is deeply cordate and sagittate with two broad diverging lobes; the veins are basal, prominent below. The petiole is usually about 15-30 cm long, septate, with air-ducts; the basal part has a broad, membranous sheath.

The hypocotyl is 0.5-3.5 mm long, glabrous, and white to green in colour. There is sheathing around the first leaf; the sheath is transparent and glabrous. The first leaf is narrowly elliptic, 8-12 x 1.3-1.5 mm, and glabrous; the midrib is distinct; the base attenuate; the margin entire; and the apex acute to rounded (Soerjani et al., 1987).

The inflorescence is a raceme; the peduncle is flaccid, 10-30 cm long, with several whorls of flowers attached to the main axis. The flowers are barely emerged above water level at the bud stage, but fully emerged when open. Flowers are usually in whorls of three, erect on short pedicels, 0.5-1 cm long. There are three bracts in each whorl; three sepals, united, broadly triangular, and keeled; and three delicate, obovate petals, with rounded tips, white with a purple spot near the yellowish base. Flowers are mainly unisexual; bisexual flowers are usually in lower whorls. The flowers often open partially at noon but close long before sunset. Flowering takes place throughout the year. The flower is staminate with 6-12 stamens (6-9 in male flowers, 9-12 in bisexual flowers); filaments are 2 mm long, glabrous to glandular, and covered with papillae. Carpels are numerous, yellow, and inserted on a convex, cup-like receptable; the styles are yellow, and 1 mm in length; the stigmas are minute and inconspicuous. Fruit is a nodding aggregate on a strongly thickened pedicel. The fruit aggregate is about 10-15 mm in diameter, and ripens under water. Fruitlets (achenes) have short stalks, are elliptic, flattened, warty, with an incised margin, echinately ribbed. The seeds are brown, 1.5 mm long; the exocarp has a blunt, broad spiny crest.

চাঁদমালা / চাঁদ মালা / চান্দমালা / চান্দ মালা/ চাদমালা / Nymphoides hydrophylla / Crested Floatingheart /কুমুদিনী (হিন্দি)

চাঁদমালা
হিন্দি নাম- কুমুদিনী / টগরমূলী
Common name: Crested Floatingheart.
S.name: Nymphoides hydrophylla (synonym : Nymphoides cristata / Limnanthemum cristatum)
Family: ফ্যামিলিঃ Gentianaceae (বর্তমান-Menyanthaceae)
_____________________________________________________________________________
বাংলার খাল-বিলে খুব দেখাযায় একে। রঙ পিউর হোয়াইট। হাল্কা সুগন্ধি। ফুল ফোটে আগস্ট হতে নভেম্বার পর্যন্ত।
কয়েকজন লেখক, যেমন----
১) দ্বিজেনশর্মা
২) আমজাদ আলী খান
৩) এম এস রেজাউল করিম
৪) মো: হাসান কবির
৫) দেবাশিষ রায়--------------------------- প্রমুখ রাইটারের উদ্ভিদ বিষয়ক বই অনুসারে Nymphoides hydrophylla-এর বাংলা নাম হচ্ছে চাঁদমালা / চান্দমালা
। কিন্তু বিভিন্ন নেটে বিভিন্ন গ্রুপে/ সাইটে পানচুলি নামক অন্য একটি উদ্ভিদকে ভূলক্রমে প্রায়ই চাঁদমালা বলা হত।
টি বি's photo.
(চান্দমালা ফুল, ছবি- টিবি/ বোটানী.বিডি)

দ্বিজেন শর্মার বইয়ে Nymphoides hydrophylla/ চাঁদমালা-এর নিম্নরূপ বর্ণনা দেয়া আছে-

এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রজাতি। লতান জলজ উদ্ভিদ। ভাসন্ত পাতা প্রায় গোল, 5-8 সে.মি চওড়া, বোটা প্রায় 4সে.মি, পাতার উপর মসৃণ, নিচে প্রকট শিরাজাল। ছোট ছোট সাদা ফুল, পাপড়ি 5টি। ফল গোল।

তথ্যসূত্র: ১) বই (ফুলগুলো যেন কথা,
দ্বিজেন শর্মা)
           ২) নেট:(চান্দমালা ফুল, ছবি- টিবি/ বোটানী.বিডি)

Pandanus amaryllifolius _Pandanus odoratissimus / Polaw pata / পোলাও পাতা / পোলাউ পাতা /

  • পোলাও পাতা / কেতকী
  •   বৈজ্ঞানিক নাম: Pandanus amaryllifolius   (Pandanaceae)

 পোলাও পাতার গাছের আকৃতি ও পাতার চেহারা দেখতে অনেকটা কেয়াগাছের মতো। তবে কেয়াগাছের মতো অত বড় হয় না। ছোট ঝোপালো প্রকৃতির গাছ। গাছ বহুবর্ষজীবী, একবার লাগালে বাঁচে অনেক দিন। আনারসগাছের মতো মোথা থেকে চার দিকে কিছুটা খাড়াভাবে তলোয়ারের মতো পাতা বাড়তে থাকে। পাতার দৈর্ঘ্য ৫০-৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্খ ৩-৪ সেন্টিমিটার। পাতা চকচকে সবুজ, পুরু চামড়ার মতো, একটু শক্ত, পাতার কিনারা মসৃণ। অগ্রভাগ সুঁচালো। এ গাছের পাতায় পোলাওয়ের মতো গন্ধ আছে বলেই এর নাম পোলাও পাতা গাছ। এই সুগìধ দিয়ে খাদ্যদ্রব্য সুরভিত করতেই পোলাও পাতা গাছ ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে সুগন্ধবিহীন সাধারণ চাল দিয়ে ভাত রান্নার সময় এই পাতা ব্যবহারে সেসব ভাতেও পোলাওয়ের ঘ্রাণ আসে। ভাত রেঁধে মাড় ফেলে দেয়ার পর তাতে পোলাও পাতা মিশানো হয়। পোলাও পাতা ৩-৪ সেন্টিমিটার টুকরো টুকরো করে কেটে গরম ভাতের স্তরে স্তরে বিছিয়ে দেয়া হয়। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখা হয়। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিলে ভাতে সুঘ্রাণ আসে। খাওয়ার সময় সেই ভাত থেকে পোলাওয়ের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়, ভাত খেতে তৃপ্তি আসে। তবে চা বানানোর জন্য চায়ের পানি ফুটে এলে তার ভেতর পোলাও পাতার কয়েকটা টুকরো ছেড়ে দেয়া হয়। তারপর সেই পানি ছেঁকে চায়ের মতো খেলে সেই চা থেকেও পোলাওয়ের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। একইভাবে বিভিন্ন রকম স্যুপ,
জাউভাত, ফিরনি, পায়েস ইত্যাদি সুগন্ধযুক্ত করতে পোলাও পাতা ব্যবহার করা যায়।

Sunday, October 19, 2014

জংলী পাট / বন্যপাট / বনপাট / বুনো কুষ্টা / Jew's mallow jute, Jungle jute / Corchorus aestuans

  • বাংলা নাম- জংলী পাট, বন্যপাট, বনপাট, বুনো কুষ্টা  
    ইংরেজি নাম- Jew's mallow jute, Jungle jute 
    বৈজ্ঞানিক নাম- Corchorus aestuans (syn C. acutangulus)  
    গোত্র- Tiliaceae

    Rashed Karami's photo.




  • ছোট অবস্থায় / ফুল ধরার আগে বন্যপাট দেখতে অনেকটা পাটগাছের মতই মনে হয়। সবৃন্তক পাতার কিনারা খাজকাটা, পাতাগুলো অনেকটা বর্মাকার। পাতার কক্ষে হালকা হলদে বর্ণের ছোট ফুল হয়। আগষ্ট থেকে অক্টোবরে ফুল হয়। এর ফল ক্যাপসুল জাতীয় এবং 6টি শিরবিশিষ্ট, এর মধ্যে 3টি শির পাখনা আকৃতির। পরিপক্ক ফল ফেটে গিয়ে বীজ বের হয়। বীজের সাহায্যে এটি বংশবিস্তার করে।

Saturday, October 18, 2014

কানাইডিঙ্গা / কানাই ডিঙ্গা / কানাইডিংগা / কানাই ডিংগা _ Oroxylum indicum

কানাইডিঙ্গা

ইংরেজি নামঃ মিডনাইট হরর, Broken bones plant, Indian calosanthes, Indian Trumpet Tree, Tree of Damocles.
পরিবারঃ Bignoniaceae
বৈজ্ঞানিক নাম-Oroxylum indicum

এটি একটি সংকটাপন্ন বুনো উদ্ভিদ। তলোয়ারের মতো দীর্ঘতম ফলের জন্যও এরা বিখ্যাতশোনাক ও শুকনাশ এদের সংস্কৃত নামতা ছাড়া শোনা, কটম্ভর, প্রিয়জীব, দীর্ঘবৃন্তক, পীতপাদপ ইত্যাদি নামেও পরিচিOroxylum গণে এরাই একমাত্র প্রজাতি


কানাইডিঙ্গা 
এটি একটি সংকটাপন্ন উদ্ভিদ। দৈনিক সমকালে প্রকাশিত মোকারম হোসেনের একটি লেখা অনেক তথ্য জানতে পেরেছি, যেমন--

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সংরক্ষিত বাগান এবং মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে এটি দেখা যায়। আছে শালবন অঞ্চলেও। প্রস্টম্ফুটিত ফুল অতি প্রত্যুষে দিনের আলো ফোটার আগে ঝরে পড়ায় গাছতলাতেই দেখা মেলে। আর পরাগায়ন কাজটিও হয় রাতের পাখি বাদুড়ের মাধ্যমে। একটু খেয়াল করলেই ঝরে পড়া ফুলে বাদুড়ের নখের আঁচড় দেখা যাবে। এসবকারণে ইংরেজি নামটিও জম্পেশ, মিডনাইট হরর। শোনাক ও শুকনাশ এদের সংস্কৃত নাম। তা ছাড়া শোনা, কটম্ভর, প্রিয়জীব, দীর্ঘবৃন্তক, পীতপাদপ ইত্যাদি নামেও পরিচিত। কানাইডিঙ্গা বুনো গাছ। তলোয়ারের মতো দীর্ঘতম ফলের জন্যও এরা বিখ্যাত।
কানাইডিঙ্গা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচু হতে পারে।  প্রস্টম্ফুটনকাল দীর্ঘ_ বর্ষার শেষভাগ থেকে প্রায় হেমন্ত অবধি। লম্বাটে মঞ্জরিদণ্ডের আগায় আঙুলের ডগার মতো অসংখ্য কলি ঈষৎ ঝুলে থাকে। দিনের আলোয় কোনো প্রস্টম্ফুটন প্রস্তুতি চোখে পড়ে না। রাতের অন্ধকারে অতি দ্রুততার সঙ্গে তা শেষ হয়। ফুল প্রথম দর্শনে পীতপাটলাও মনে হতে পারে। গড়নের দিক থেকে প্রায় একই হলেও এই গণে এরাই একমাত্র প্রজাতি। গুচ্ছবদ্ধ ফুল বেশ বড়, ঈষৎ হলুদ-বেগুনি রঙের। ৫টি পাপড়িই গভীরভাবে মোড়ানো, পরাগকেশর স্পষ্ট, দুর্গন্ধি। গাছটির মূল, ছাল ও বীজ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ বানানো হয়।

# বর্ণনা:


১) কানাইডিঙ্গা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচু হতে পারে
২)
পাতা যেৌগিক, বেশ নান্দনিক৩) পুষ্পায়ন: বর্ষার শেষভাগ থেকে প্রায় হেমন্ত অবধিলম্বাটে মঞ্জরিদণ্ডের আগায় আঙুলের ডগার মতো অসংখ্য কলি ঈষ ঝুলে থাকে।  ৪) এরা নিশিপুষ্পদিনের আলো ফোটার আগেই ঝরে পড়ে গাছতলায়এই  গুচ্ছবদ্ধ ফুল বেশ বড়, ঈষ হলুদ-বেগুনি রঙের৫টি পাপড়িই গভীরভাবে মোড়ানো, পরাগকেশর স্পষ্ট, দুর্গন্ধি


# প্রাপ্তিস্থান:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সংরক্ষিত বাগান এবং মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, ময়মনসিংহের কিছু স্থানে, শালবন অঞ্চলে। 
 উপকারীতা:
গাছটির মূল, ছাল ও বীজ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ বানানো হয়



তথ্যসূত্র/ ছবি : নেট, দৈনিক সমকাল।

Friday, October 17, 2014

Tephrosia candida _ বগা ফুল / বাঙ্গারা / White Tephrosia / White Hoary Pea



Tephrosia candida
Synonyms:
Cracca candida
Fabaceae - Papilionoideae
সাধারণ নাম- বাঙ্গারা, বগা , বনতর (হিন্দি)
ইংরেজি নাম- White Hoary Pea
সংস্কৃত নাম-সারাপুঙ্খা
আমাদের দক্ষিণ এশিয়াই এই ফুলের আদি নিবাস। এই ফুলটি আমি প্রথম দেখেছি জাতীয় উদ্যাান, মিরপুর-এর গোলাপ বাগানের চারদিকে।
(ছবি- মিরপুর জাতীয় উদ্যান থেকে উঠিয়েছি)

বর্ণনা :
১) এটি একটি খাড়া গুল্ম, লম্বায় ১-২.৫/৩ মিটার। শাখা-প্রশাখাগুলো কিছুটা নতজানু হয়ে ঝুলে (
straggling ) থাকে।
২) পাতাগুলো সচূড় পক্ষল যৌগিক, ১৩-২৭ টি পিনাযুক্ত। পিনার শীর্ষভাগ কিছুটা সূচালো বা ভোতাও হয়ে থাকে (
sharp or blunt tip)

৩) ফুলগুলো সাদা, যা মটর ফুল বা ছোট আকারের বকফুলের মত দেখতে। শাখা- প্রশাখায় অনেকগুলো ফুল রেসিম সৃষ্টি করে থাকে। রেসিম ২৫ সে.মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, শীর্ষক বা কাক্ষিক।
৪) ফল পড/লিগুম জাতীয় এবং ৬-১০ সে.মি লম্বা, ৮-৯ মি.মি চওড়া।
৫) প্রতি ফলে ১০-১৫ টি বীজ থাকে। বীজগুলো চওড়া-ডিম্বাকার।
৬)
এটি পানিবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।
(পাতা)


ব্যবহার: শোভা বর্ধনে বাগানে লাগানো ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্ব আছে, যেমন-
সবুজ সার তৈরিতে এর ব্যবহার আছে। বয়স্ক কাণ্ড জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শিকড়ে মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা প্রচূর পরিমানে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে পারে, এজন্য এগ্রোফরেস্ট্রিতে এর ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন গাছের চারা যেমন, কফি, চা, নারকেল ইত্যাদির অস্থায়ী শেডক্রপ হিসেবে এই গাছ ব্যবহৃত হতে পারে।

Thursday, October 16, 2014

দোপাটি / Impatiens balsamina

  • দোপাটি
  • ইংরেজী নামঃ Balsam
  • বৈজ্ঞানিক নামঃ Impatiens balsamina
  • পরিবারঃ Balsaminaceae

  • দোপাটি ফুলের গাছ আমাদের দেশের প্রায় প্রত্যেক বাড়ীতেই দেখা যায়। এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ এবং এই গাছে প্রচুর ফুল ফোটে। সব ঋতুতেই এ গাছ জন্মায়। বর্ষায় আকারে বড় ও সুন্দর ফুল দেয়। দোপাটি গাছের উচ্চতা ১.৫০-২ ফুট বা ৪৫-৬০ সেমি.। গাছের কান্ড খুব নরম এবং গাছ বেশ ঝোপালো হয়। ফুল সাদা, লাল, বেগুনি, গোলাপি প্রভৃতি রঙের হয়ে থাকে। ফুল সিঙ্গল ও ডাবল হয়। এই ফুল বাগানের বর্ডারের জন্য বিশেষ উপযোগী।

                                            দোপাটির পাতা

ছবি- নেট।
তথ্যসূত্র- ফেইসবুক গ্রুপ

হিজল / Barringtonia acutangula

হিজল
বৈজ্ঞানিক নাম- Barringtonia acutangula
পরিবার- Lecythidaceae


হিজল গাছ মাঝারি আকারের ডালপালা ছড়ানো দীর্ঘজীবী গাছ। এর সংস্কৃত নাম নিচুল। এ ছাড়া জলন্ত, নদীক্রান্ত নামেও  পরিচিত।  এই গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। সাধারণত জলজ, কাদা-পানিতে এই গাছ জন্মে। বীজ থেকে গাছ হয়। উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার। হালকা গোলাপি রঙের ১০-১২ সেমি লম্বা পুষ্পদণ্ডের মাঝে অসংখ্য ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় ফোটে। গভীর রাতে ফুল ফোটে, সকালে ঝরে যায়। ফুলে একধরনের মিষ্টি মাদকতাময় গন্ধ আছে। হিজল গাছের প্রাণশক্তি প্রবল। বন্যার পানি কিংবা তীব্র খরাতেও টিকে থাকে। এমনকি পানির নিচে কয়েক মাস নিমজ্জিত থাকলেও হিজলগাছ বেঁচে থাকে। তাই হাওর অঞ্চলে এ গাছের ডাল মাছের অভয়রাণ্য তৈরিতে ব্যবহূত হয়।

তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া
ছবি- কালেক্টেড

Adenium _ অ্যাডেনিয়াম / এডেনিয়াম / ডেজার্ট রোজ

  • অ্যাডেনিয়াম
    বৈজ্ঞানিক নাম: Adenium spp
    গোত্র : Apocynaceae

    • এটি ডেজার্ট রোজ নামেও খ্যাত। কালারফুল ফুলের অ্যাডেনিয়াম বিশেষভাবে প্রশংসিত। হাউসপ্ল্যান্ট হিসেবে এটি খুবই জনপ্রিয়। অ্যাডেনিয়ামের আরেকটি নাম হল ব্যাংকক কালাচুচি (Bangkok kalachuchi)


অ্যাডেনিয়াম গাছটির নিচের অংশটি (কডেক্স) স্ফীত। বছরের পর বছর এটি টবে বেচে থাকতে সক্ষম, এজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একে বনসাই করা হয়। কলমে এর চাষ করা যায়। অ্যাডেনিয়ামের কিছু প্রজাতির রসে বিষাক্ত কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড থাকে।





তথ্যসূত্র : Botany.Bd, উইকিপিডিয়া
ছবি: নেট।