Sunday, October 12, 2014

Mimosa rubicaulis _ শিয়াকাঁটা / কুচিকাঁটা / বড় লজ্জাবতী / গোত্র- টাচ মি নট

Mimosa rubicaulis
Family: Fabaceae , subfamily Mimosoideae


ইট ইজ নট.. ‘টাচ মি নট’ ?
-------------------------
শেরপুর জেলার ‘সন্ধ্যাকুড়া-মধুটিলা’ পথে এক ব্রীজের উপর থেকে চোখ পড়লো এক পুষ্পিত গাছে। স্থানীয় লোকজন এর নাম বললো ‘তেওরা কাঁটা’.. এর প্রমিত বাংলা নাম- শিয়াকাঁটা/ কুচিকাঁটা/ বড় লজ্জাবতী ইত্যাদি। কণ্টকিত এ গাছটি গুল্ম স্বভাবের। কাণ্ডে এবং পাতায় প্রচূর কাঁটা থাকে। থোকায় থোকায় ফোটা এর ফুলগুলো ছোট লজ্জাবতী ফুলের মতই। এর পুষ্পমঞ্জরি দুই রঙের (pink & white) । জুন মাস থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে অক্টোবরে শেষ। এর ফলগুলো চ্যাপ্টা, বাঁকা-লম্বাটে। লজ্জাবতীকে বলা হয় ‘টাচ মি নট’, এর পাতায় ‘নিকটিন্যাস্টিক চলন (স্পর্শ করলে বুঁজে যায়) দেখা যায় । কিন্তু এই গাছটির পাতা স্পর্শ করলেও বুঁজে যায় না তাই আমার একবন্ধু বলে উঠলো-- ইট ইজ নট ‘টাচ মি নট’ । প্রকৃত পক্ষে এটি লজ্জাবতীগোত্রীয় (Mimosaceae =Touch-me-not family)।
(Mimosa rubicaulis-এর একটি শাখা, ছবি- Botany.bd /রাশেদ কারামী)
অন্যান্য নাম: বড় লজ্জাবতী / শিয়াকাঁটা/ কুচিকাঁটা / Himalayan Mimosa
প্রাপ্তিস্থান: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান, আফগানিস্থান।
বর্ণনা:
১) স্বভাব- কণ্টকিত গুল্ম। (কাণ্ডে এবং পাতায় প্রচূর কাঁটা থাকে।)
২) পাতা-দ্বিপক্ষল যৌগিক। প্রতি পাতায় ৮-১২ জোড়া পিনা এবং প্রত্যেক পিনায় 16-20 জোড়া পিনিউল থাকে। র‌্যাকিস কণ্টকিত। এই গাছটির পাতা স্পর্শ করলেও বুঁজে যায় না।
৩) পুষ্পায়ন- জুন মাস থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে অক্টোবরে শেষ।
4) পুষ্প এবং পুষ্পমঞ্জরি- থোকায় থোকায় ফোটা এর ফুলগুলো ছোট লজ্জাবতী ফুলের মতই। পুষ্পবিন্যাস 'হেড (মুণ্ডক)' জাতীয়। হেডগুলো পিঙ্ক বর্ণের তবে বয়স বাড়ার সাথে এগুলো সাদা বর্ণ ধারণ করে, তাই গাছে একই সাথে পিঙ্ক এবং সাদা এই দুই রঙেরপুষ্পমঞ্জরি দেখা যায়।
5) ফল-  এর ফলগুলো চ্যাপ্টা, বাঁকা-লম্বাটে, ৮-13 সে.মি., এতে 4-10টি বীজ থাকে। পরিপক্ক ফল কতগুলো খণ্ডে বিভক্ত হয়, প্রতি খণ্ডে 1টি করে বীজ থাকে।

গুরুত্ব:
১)মূল এবং পাতার ভেষজগুণ আছে।
২) হেজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৩) এই গাছ খেকে গানপাউডার তৈরি করা যায়।

তথ্যসূত্র,
ছবি: Botany.bd /রাশেদ কারামী এবং উইকিপিডিয়া)



No comments:

Post a Comment